গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশের আরও ১৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এটি একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসব রোগী। নতুন ভর্তি হওয়া ১৯৬ জনের মধ্যে ১৯৪ জন ঢাকায় ও অবশিষ্ট ২ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তি রোগী ৭৪৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ৩০ জন।
চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সন্দেহে ৪টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও এখনও কোনো মৃত্যুই ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেনি আইইডিসিআর।
এর আগে বুধবার (২৯ জুলাই) সর্বোচ্চ ১৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
শনিবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ও হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শনিবার ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট ২ হাজার ৬৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন১ হাজার ৮৭৭ জন রোগী।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:
১। প্রচণ্ড জ্বর
২। তীব্র মাথা ব্যথা
৩। বমি
৪। শরীরে লাল র্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১। মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা
৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা
একুশে সংবাদ/জা/তাশা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

