বুধবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে আসা করোনার ১১ লাখ ভ্যাকসিনের ৫ লাখ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ১১ লাখ যে ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি, সেখান থেকে ৫ লাখ লোককে দেওয়া হবে। কারণ আমরা দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখে দেব। এটা আমাদের সবারই সিদ্ধান্ত। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরি করা হয়েছে। সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্যাকসিন চেয়েছে এবং বলেছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা ভ্যাকসিনের জন্য আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এখনো পাননি তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থী, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিদেশগামী কর্মী, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও করোনায় মৃতদের সৎকারে নিয়োজিত কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিক এবং এর বাইরেও অন্য দেশের যেসব নাগরিক এখানে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা যদি আমাদের কাছে আবেদন করেন ও এর আগেও আবেদন করেছেন, তাদেরকেও আমরা দিয়ে যাচ্ছি, বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোটামুটি একটি সমঝোতার পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। এখন আমরা অপেক্ষা করছি, তারা কবে কখন কতটুকু দেবে আমাদের, এই বিষয়গুলো নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, আজকে আমাদের রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক আছে। হয়তো বা আজকে আমরা ভালো একটি সিদ্ধান্ত রাশিয়ার কাছ থেকে পেতে পারি। যদি পাই, সেটা পাওয়ার পরে আপনারা অবশ্যই জানতে পারবেন।
একুশে সংবাদ /রাফি
আপনার মতামত লিখুন :