AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইছামতির চরে একদিন


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:২৩ এএম, ২১ নভেম্বর, ২০২০
ইছামতির চরে একদিন

নীল আকাশে সাদা মেঘের উড়া-উড়ি। চোখ যেদিকে যায় চারপাশে শুধু জলরাশি।নদীর বুকে বয়ে চলছে নৌকা। সাথে লাগছে হালকা বাতাস। সবারই ভালো লাগে এমন দৃশ্য। আর এমন দৃশ্য কে না দেখতে চায়!

প্রিয় পাঠক এমন দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় উপর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদীর তীরে। এই নদীর পূর্ব পাশে রয়েছে একটি চর।নদীর নাম অনুসারে এই চরটির নাম রাখা হয় 'ইছামতীর চর'।

বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে প্রকৃতির সাজে সেজেছে ইছামতী নদীর তীরবর্তী চর। চরের এপারে সিরাজদিখান বাজার আর ওপারে এলাকার লোকজনের বসতি-পূর্ণ গ্রাম। শুকনো মৌসুমে এ চরটিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়।

তাছাড়া বর্ষা শেষে বিস্তীর্ণ মাঠ হলেও বর্ষার স্বচ্ছ পানিতে বর্তমানে চরটি সেজেছে প্রকৃতির নানা রঙে। দিনের বেলায় মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে উঠে।  রাতের বেলায় মিষ্টি রূপালী চাঁদ মন কেরে নেয় সবার। খানিক দূরে দূরে মাছ ধরার অস্থায়ী সাড়ি সাড়ি ভেসাল। তাকাতেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। মনোমুগ্ধকর  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে দূর দূরান্ত থেকে স্ব-পরিবারে ছুটে আসেন অনেকে।

সারি সারি ঢেউয়ের দোলনা, দুষ্ট মিষ্টি বাতাস মনকে আরো একবার দোলা দিয়ে যায় সহসাই। পড়ন্ত বিকেলের চরটি চারিপাশের মনোরম দৃশ্য  উপভোগ করে অনেকেরই যেন মন ভরে না। রাতের জ্যোৎস্না আলোয় মৃদু বাতাস ঢেউয়ের হালকা দুলনির। সাথে ঝুলে থাকা আকাশের মিষ্টি রূপালী চাদঁ। এই সব দৃশ্য উপভোগ করতে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পরেন ভ্রমণ পিপাসু যুবকদের পাশাপাশি মাঝ বয়সের নারী পুরুষসহ  শেষ বয়সী বৃদ্ধরাও।

চাঁদের আলোয় মনের আনন্দে গলা ছেড়ে গান গায় অনেকেই।তাদের গান গাওয়ার মধূর সুর ভেসে আসে দূর থেকে। অনেকে সারারাত কাটিয়ে দেন নৌকার মধ্যেই। রাতের বেলায় চরটির দক্ষিণ পাশ থেকে তাকালে দেখা যায়  ধুধু দূরে অবস্থিত ঢাকার শহরের নানা রঙের লাল নীল বাতির আলো।আর এই আলোই মনকে আরো একবার রাঙিয়ে দিতে সাহায্য করে।

সেখানে গিয়ে দেখা মেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখত ঢাকা থেকে আসা স্টার্মফোড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আকরাম হোসেনের। তার কাছ ইছামতীর চরের সৌন্দর্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বন্ধু বান্ধবসহ বিকালে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। কিন্তু এখনও যেতে পারিনি। বিকেলের সৌন্দর্যের চাইতে  থেকে রাতের বেলার চাঁদ উপভোগ করার মজাই আলাদা। হালকা বাতাস, নিভু নিভু আলো মনটাকে চাঙ্গা করে দিচ্ছে প্রতিটা মূহুর্তেই। আমরা ছাড়াও অনেক মানুষ নৌকা নিয়ে এখানে ঘুরতে এসে সময় কাটাচ্ছে। আসলে এটি খুবই সুন্দর একটা ঘোরার জায়গা।'

চরটিতে ঘুরতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, 'বর্ষার পানিতে এ চরটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কিন্তু এই মৌসুমে পুরোপুরিই ভিন্ন। বর্ষা শেষে এ চরে ধান আবাদ করা হয়। চরের মধ্যে জমাট বাধা কচুরিপানা।সেটাকে  পরিষ্কার করে পাশের নদীটাতে ফেলা হয়। এতে করে নদীটা সম্পূর্ণ রূপে কচুরিপানায় জর্জরিত হয়ে থাকে।এতে নদীর সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যদি শুকনো মৌসুমেও নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করে রাখা যেত তাহলে সারা বছরই এমন দৃশ্য উপভোগ করা যেত। তবে স্থানীয় প্রতিনিধির এই বিষয়টির নজর দেওয়া উচিত।'


লেখক :
আসমাউল মুত্তাকিন
শিক্ষার্থী,
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

Link copied!