বর্তমানে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে তারকা বনে যাচ্ছেন। যাদেরকে বলা হয় সোশ্যাল তারকা। কেউ নেচে, কেউ টিকটক করে আবার কেউ বা গান গেয়ে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যাচ্ছেন নেটদুনিয়ায়। উন্নত প্রযুক্তির প্রভাব পড়েছে সঙ্গীত জগতেও।
তবে একদিকে প্রযুক্তিগত উন্নতি শিল্পীদের যেমন সুবিধা দিয়েছে, তেমনই প্রযুক্তি শিল্পীর নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কাও বাড়িয়েছে। এবার প্রযুক্তি এবং ভাইরাল নতুন শিল্পীসহ একাধিক বিষয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সঙ্গীতের ‘পাইরেসি’ এবং ‘কপিরাইট’ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন জিৎ। সেখানে ভুবন বাদ্যকর ও রাণু মণ্ডলকে নিয়েও কথা বলেন তিনি।
নতুন শিল্পীদের নিয়ে জিৎ বলেন, নতুনদের অনেকের প্রতিভাই আমাকে আপ্লুত করে। তাছাড়া আমি নিজেও নতুন শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতীয় সঙ্গীত জগতে আরও পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে বাড়বে প্রতিযোগিতাও। তবে ভাইরাল সংস্কৃতি খুব বেশি দিন থাকবে না। যারা খাঁটি শিল্পী, তখন শুধু তারাই টিকে থাকবেন।
এ সময় ‘কাঁচা বাদাম’ খ্যাত ভুবন বাদ্যকর ও রানু মণ্ডলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা গান করেই অনেকে ভাইরাল শিল্পীর তকমা পাচ্ছেন। কিন্তু তার পর হারিয়ে যাচ্ছেন। আমি এই প্রবণতাকে সমর্থন করি না। কোনো শিল্পীর জনপ্রিয়তাকে বিচার করতে হলে আমি ওই শিল্পীর একাধিক গানের নিরিখে তাকে বিচার করব।
সুর সংশোধনের জন্য তৈরি ‘মেলোডাইন’ সফটওয়্যারের কথা উল্লেখ করে জিৎ বলেন, লতাজি, কিশোর কুমার বা মোহাম্মদ রফি তো রেওয়াজ করে স্টুডিওতে এসে গান রেকর্ড করতেন। যেদিন থেকে সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু হলো, তখন অনেকেই বলেছিলেন— এখন থেকে সবাই গায়ক হয়ে উঠবে। কিন্তু সেটা তো হয়নি। কারণ, পরিশ্রম ছাড়া টিকে থাকা কখনোই সম্ভব না।
একুশে সংবাদ/এনএস



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

