২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, সারাদেশে ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।
এ বছর দেশের ৩ হাজার ৭১৪টি কেন্দ্র থেকে মোট ৩০ হাজার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে—২০২৪ সালে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। অর্থাৎ, এবার সেই সংখ্যা বেড়েছে আরও ৮৩টি।
অন্যদিকে, শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এ বছর এমন প্রতিষ্ঠান আছে ৯৮৪টি, যেখানে গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে একযোগে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড এবং কারিগরি বোর্ড এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে।
ফলপ্রকাশ উপলক্ষে শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও, ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর।
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এবার নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ কম। এবারের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন নীতি’ অনুসরণ করে।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে