মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ‘নগদ’ শিগগিরই বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তর করা হবে। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে নতুন বিনিয়োগকারী খোঁজার কাজ চলছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫: দ্য ইন্টারসেকশন অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নর বলেন, পোস্ট অফিসের পক্ষে নগদ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই বেসরকারি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে— নগদকে একটি স্থিতিশীল ও সক্ষম প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এটি বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।
তিনি জানান, অতীতে নগদের মালিকানায় ভুয়া সদস্য যোগসহ নানা অনিয়ম হয়েছিল। এখন সেগুলো সংস্কার করে প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে নগদ ক্রমবর্ধমান এবং স্থিতিশীল।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রতিবছর নগদ টাকার চাহিদা প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এতে ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ নতুন নোট সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান,কিউআর কোড ব্যবহার জাতীয়ভাবে বাধ্যতামূলক করা হবে। ট্রেড লাইসেন্সধারী সব প্রতিষ্ঠানকে কিউআর কোড নিতে হবে। ভবিষ্যতে এটি আইন দ্বারা বাধ্যতামূলক হবে।এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে।বেসরকারি খাতে পাঁচটি ক্রেডিট ব্যুরো অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে