AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বোয়ালখালীর ভারাম্বা খালে গিলে খাচ্ছে সড়ক ও বসতবাড়ি



বোয়ালখালীর ভারাম্বা খালে গিলে খাচ্ছে সড়ক ও বসতবাড়ি

বোয়ালখালীতে ক্রমাগত ভাঙনে ভারাম্বা খাল গিলে খাচ্ছে সড়ক ও বসতবাড়ি। উপজেলার ৮ নম্বর শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কর্ণফুলী নদীতে মিশে যাওয়া এ খালটি ১০ নম্বর আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের বৈদ্যানী খাল থেকে নেমে আসে। খালের উভয় পাশে অবস্থিত চৌধুরী পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, জলদাসপাড়া, শান্তিবাজার, কুলালপাড়া ও সৈয়দ আমির পাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এখন ভাঙনের আতঙ্কে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খালের পশ্চিম পাশের বড়ুয়া পাড়া–চৌধুরী পাড়া সড়কটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষ এ সড়কে পায়ে হেঁটে চলাচল করেন। খালের ভাঙনে কাঁচা সড়কের বড় অংশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্ষায় এ দুর্ভোগ আরও বাড়ে।

শুধু কাঁচা সড়ক নয়, খালের পূর্ব পাশের পাকা সড়কটিও কয়েক জায়গায় ভেঙে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ঝুঁকিতে রয়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা। বড়ুয়া ও জলদাসপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়া, ননা বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়া এবং জলদাসপাড়ার রাখাল দাশ ও রসনা দাশ বলেন, “বাড়িঘর খালের ভাঙনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পথে চলতে হয়। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়বে।” কালিছড়ি মন্দির এলাকার রতন মাস্টার বলেন, “দেড় কিলোমিটার সড়কটি পাকা হলে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে।”

শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী বলেন, “শ্রীপুর চৌধুরী পাড়া, জলদাসপাড়া, পশ্চিম জৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়া, দক্ষিণ কুলাল পাড়ার বহু জায়গা খালের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। রসনা বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া ও কালিছড়ি মায়ের মন্দির পুরোপুরি নদীগর্ভে চলে গেছে। গত বছর সৈয়দ আমির পাড়ার সড়ক সংস্কারের সময় গাইডওয়াল ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ২১০ মিটার এলাকায় ব্লক বসানো হয়। এখনো প্রায় ৭০০ মিটার এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”

উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, “খালের দুই পাশের ভাঙনরোধ ও সড়ক পাকাকরণ এখন জরুরি। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়িঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

উপজেলা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক বলেন, “ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের কাজ চলমান রয়েছে। ব্লকের কাজ শেষ হলে শান্তিবাজার থেকে আমির পাড়া পর্যন্ত ৭০০ মিটার সড়কের কাজ শুরু হবে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

Link copied!