বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আয়োজনে কালীগঞ্জে গণসমাবেশ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আয়োজনে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাম্য, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মাগরিব বাদ জামালপুর হাই স্কুল মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা যুবাইর আহমদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন গাজীপুরী।

গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের গাজীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী গাজী রুহুল আমীন কাসেমী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মাহবুবুল হক,কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ,যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা আব্দুল আজিজ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী,বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ ফজলুর রহমান,গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাসউদুর রহমান,বাড্ডা থানার সহসভাপতি মুফতি তাজুল ইসলাম জালালী।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, জেলা–মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো. খায়রুল হাসান;উপজেলা জামায়াতের আমীর হাজী আফতাব উদ্দিন;উপজেলার কওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি;বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পলাশ উপজেলা সভাপতি;কালীগঞ্জ ওয়ায়েজীন পরিষদের সভাপতি;কালীগঞ্জ ইমাম পরিষদের সভাপতি;বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ–সুপার–শিক্ষক, সাংবাদিক এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার হাজারো ধর্মপ্রাণ জনতা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন—খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ–আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সাম্য, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে। ধর্ম–বর্ণ–ভিন্নমত নির্বিশেষে সবার জন্য খেলাফত— এ ধারণা ছড়িয়ে দিতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির মহড়া বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ— লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড— নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামবিরোধী সব পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন—পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২৪-এর গণহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ধর্ম অবমাননা রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। সকল ধরনের জুলুম, বৈষম্য, চাঁদাবাজি ও মসজিদ–মাদরাসা দখল বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

একুশে সংবাদ/এ.জে