AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গোপালগঞ্জে কাশবন সাহিত্য পত্রিকা লেখক সম্মেলন: কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা



গোপালগঞ্জে কাশবন সাহিত্য পত্রিকা লেখক সম্মেলন: কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

সাহিত্য মানস গঠন করে, মননকে শাণিত করে এবং সেই মননশীলতার চর্চাকে আরও বেগবান করতে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো কাশবন সাহিত্য পত্রিকা লেখক সম্মেলন। গতকাল শুক্রবার, সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের ডেমাকেইড় গ্রামে জে কে পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ঢাকাসহ দেশের ১৬টি জেলা থেকে আসা প্রায় দুই শতাধিক কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও সংস্কৃতিকর্মীর মিলনমেলা জমে ওঠে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, প্রখ্যাত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।

প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন লেখক ও গবেষক, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপদেষ্টা সাবরিনা বিনতে আহমেদ, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ফারুক মাহমুদ।

সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেশন, আলোচনা, কবিতা পাঠ, বই পরিচিতি এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ওপেন ফোরামে অংশগ্রহণ করেন দেশবরেণ্য ও উদীয়মান সাহিত্যকর্মীরা। তরুণ লেখকদের জন্য ছিল বিশেষ সংলাপ সেশন, যেখানে তারা তাদের অভিজ্ঞতা ও সাহিত্যকর্ম তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, “বাংলা সাহিত্য বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও শক্তিশালী সাহিত্যধারা। এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের হাতে আরও শক্তভাবে পৌঁছে দিতে এ ধরনের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি কাশবন সম্পাদকমণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “জেলা ও গ্রামীণ পর্যায়ে এমন আয়োজন বাংলা সাহিত্যকে এগিয়ে নিচ্ছে — এটাই আমাদের সাফল্য।”

প্রধান আলোচক লেখক সাবরিনা বিনতে আহমেদ বলেন, “সাহিত্য শুধু লেখা নয়, এটি সময়, সমাজ ও মানুষের প্রতিচ্ছবি। কবি-সাহিত্যিকরা যদি সত্যিকার অর্থে দায়বদ্ধতা থেকে লেখেন, তবেই সমাজ পরিবর্তনের যাত্রা সম্ভব।”

অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ, সম্মাননা প্রদান, স্মারক উন্মোচন এবং শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসবটি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সম্মেলন ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে পর্দা নামে আয়োজনের।

উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী বছর আরও বড় পরিসরে লেখক সম্মেলন আয়োজন করা হবে, যা বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা যোগ করবে।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!