AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
কৃষকের পদভারে মুখরিত ফসলের মাঠ

আত্রাইয়ে আমন ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন


Ekushey Sangbad
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই, নওগাঁ
১২:২৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

আত্রাইয়ে আমন ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

ষড়ঋতুর বাংলাদেশ—ঋতুবৈচিত্র্যই এ দেশের প্রকৃতির অলংকার। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত—বিশ্বের খুব কম দেশেই ছয় ঋতুর এমন দৃশ্য দেখা যায়। ঠিক তেমনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠজুড়ে এখন অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে দুলছে আমন ধানের শীষ। হেমন্তের কোমল শিশির পড়ছে ধানের ডগায়, দিগন্তজোড়া মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।

শরৎকে বিদায় দিয়ে প্রকৃতি বরণ করেছে হেমন্তকে। মাঠের পর মাঠে ধানের শীষে জমে থাকছে সকালের সাদা কুয়াশা—যা শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। ঘাসের ডগা থেকে ধানের শীষ—সবখানেই এখন মুক্তোর মতো শিশির। আদিগন্ত মাঠজুড়ে ধানের প্রাচুর্য, হলুদ–সবুজে মোড়া এক মনোরম দৃশ্য। চারদিকে ধূসর কুয়াশার আবহ, শেষ বিকেলে আবছা সাদা চাদরে ঢেকে যায় পুরো প্রকৃতি।

শস্য–শ্যামলা বাংলাদেশের কৃষিপ্রধান রাজশাহী অঞ্চলের নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় এখন দুলছে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। ধানের ক্ষেত মাথা উঁচু করে নজর কাড়ছে। ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে আমন ধান পরিচর্যার মহোৎসব। ক্ষেত এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত।

কার্তিক মাসের শুরুতেই ধানের গাছ শিশিরভেজা বাতাসে দুলছে। মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ যেন জানান দিচ্ছে বাম্পার ফলনের আশা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন আরও ভালো হবে বলে মনে করছেন কৃষক ও কৃষিবিদরা। নওগাঁর খাদ্য উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আত্রাই উপজেলা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল; এর প্রায় পুরোটা এলাকাতেই চাষ হয়েছে।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আজম প্রামাণিক বলেন, “চারা রোপণের সময় কিছুটা পানি সংকট ছিল। তবে এখন ধানের গাছ খুব ভালো আছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছি।”

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, “কৃষকদের ক্ষেতে কঞ্চি পুঁতে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে ঐ কঞ্চিতে পাখি বসে জমির ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলতে পারে। একই সঙ্গে কম মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার ও পরিচর্যার নানা কৌশলও শেখানো হচ্ছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, “চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিশ্চিত করতে প্রতিটি ব্লকে ক্যাম্পেইনসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। মাজড়া পোকাসহ অন্যান্য ক্ষতিকর পোকা দমনে পাচিংসহ আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের কারণেই এ বছর কোথাও বড় ধরনের আক্রমণ দেখা যায়নি। সবকিছু মিলিয়ে এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা অত্যন্ত ভালো।”

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!