AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বোয়ালখালীতে নামমাত্র ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ফার্মেসি, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ



বোয়ালখালীতে নামমাত্র ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ফার্মেসি, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ম-নীতি মানা ছাড়াই চলছে ওষুধের ব্যবসা। অধিকাংশ ওষুধের দোকানের নেই ড্রাগ লাইসেন্স; ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফার্মাসিস্টের পরিবর্তে সাধারণ কর্মচারীরাই ওষুধ বিক্রি করছেন। 

ড্রাগ লাইসেন্স ও প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না এসব ফার্মেসি। লাইসেন্সবিহীন দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। এগুলো সেবন করে অনেকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। তবে প্রশাসন বলছে, নিয়মিত ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভা, কধুরখীল, পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, পোপাদিয়া, আমুচিয়া, চরনদ্বীপ, শ্রীপুর-খরনদ্বীপ ও আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, হাট-বাজার ও আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক ফার্মেসি। এর অধিকাংশেরই ড্রাগ লাইসেন্স নেই। এসব লাইসেন্সবিহীন দোকানে অদক্ষ বিক্রয়কর্মীরাই নির্বিচারে ওষুধ বিক্রি করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন সচেতন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ফার্মেসিতে আর বিশেষজ্ঞ জনবলের প্রয়োজন হয় না। ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা বলে দেন কোন ওষুধ কোন কাজে লাগে—তার ওপর ভিত্তি করেই বিক্রি হয় ওষুধ। অনেক দোকানে নিম্নমানের কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওষুধ ঢুকিয়ে দেন। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করলে ভালো মানের ওষুধের তুলনায় ৪০–৫০ শতাংশ বেশি কমিশন পাওয়া যায়। ফলে বেশি লাভের আশায় অনেক বিক্রেতা ভেজাল ও নকল ওষুধ বিক্রিতে বেশি আগ্রহী। সাধারণ মানুষও কোনটি আসল, কোনটি ভেজাল—তা বুঝতে না পেরে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ কারণে এলাকায় নিম্নমানের ওষুধের বাণিজ্য দিন দিন আরও বিস্তৃত হচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।

অভিযোগ রয়েছে, অসচেতন রোগীদের প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত আসল ব্র্যান্ডের পরিবর্তে একই গ্রুপের নিম্নমানের ওষুধ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে—যা কার্যকারিতা কমানোর পাশাপাশি রোগীর অবস্থা আরও গুরুতর করার ঝুঁকি তৈরি করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জেরিন জিতি বলেন, “ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেছি; লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!