যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের গ্যালারিতে ইইই ক্লাবের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জি. ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন মোঃ আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জি.।

ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জি. ইমরান খান বলেন, তোমরা যেনো ভালো কিছু করতে পারো সেজন্য আমরা সব সময় সহয়তা করবো। তোমাদের অর্জনই হবে আমাদের অর্জন। তোমরা ভবিষ্যতে যদি দেশের জন্য উন্নতি করো এগুলো আমাদের জন্য অনেক গর্বের। এছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার স্কিল অর্জন করো এবং সকলের সাথে যোগাযোগ বাড়াও, তাহলে পরবর্তীতে চাকরীর ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা পাবে।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. ইঞ্জি. মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করছি যেমন কিভাবে এই বিভাগকে আইইবি স্বীকৃত বিভাগ করা যায়। আমি মনে করি ইইই মানে হচ্ছে ইলিজেবল, ইফিসিয়েন্ট এবং এনার্জিটিক। তোমরা যদি একাডেমিকের পাশাপাশি আরও কিছু সফটস্কিল শিখো তাহলে সফলতার সর্বোচ্চ শিখড়ে পৌঁছাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন বলেন, নিজেকে ভালোবাসতে হবে, নিজেকে তৈরী করতে হবে, নতুনত্বের সাথে যুক্ত হতে হবে নইতো এই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও নিজেকে অচল বলে মেনে নিতে হবে একসময়। নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরী করতে শিখো এবং প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, ইইই বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় বিভাগ। নবীন শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর যুগে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতায় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে। সকল সমালোচনার উর্ধে গিয়ে নিজেদের কাছে যা কিছু আছে, তা নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবে। আমি আশা করি তোমাদের জীবনে যত বাধা আসবে, সেটাকে তোমরা জয় করে সফলতার শিখরে পৌছাবে। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সফলতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

