বাগেরহাটের মোংলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রমিক সংঘ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন,“পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জাতি অরাজকতা ও অনিশ্চয়তার ঘোর কাটিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করেছিল। ১৯৭৫ সালের এই ঐতিহাসিক দিনে রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতির মুক্তির প্রতীক হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।”
তিনি আরও বলেন,“সেদিন জাতি আবারও শুনেছিল সেই ঐতিহাসিক আহ্বান—‘আমি জিয়া বলছি’। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় যে কণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক এসেছিল, সেদিন সেই কণ্ঠেই জাতি পেয়েছিল আশ্বাস ও ঐক্যের বার্তা।”
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক ও সাধারণ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আসে, উচ্চারণ করে— “সিপাহী-জনতা ভাই ভাই”, “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”, “মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ”।
এই স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ অরাজকতা ও অনিশ্চয়তার অবস্থা থেকে উত্তরণের পথে অগ্রসর হয়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি, পৌর বিএনপির সভাপতি জুলফিকার আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মৃধা ফারুকুল ইসলাম, এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা আরও বলেন,“এই ঐতিহাসিক দিনটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন দিক উন্মোচন করেছে। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস তাই জাতির ইতিহাসে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হয়ে আছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

