আগামীর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে এবং ভারতীয় আধিপত্যের প্রশ্নে বিএনপি ও জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা ও মৌলিক সংস্কারের নিশ্চয়তা দিতে হলে তরুণ প্রজন্ম এবং এনসিপির অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সার্জিস আলম বলেন, “যেদিন জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আদেশ জারি হবে এবং গণভোটে যদি জুলাই গণসনদের পক্ষে রায় আসে—সেদিনই এনসিপি জনগণের পক্ষ থেকে সনদে স্বাক্ষর করবে। তার আগে কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া কাগজে লেখা সনদে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না।”
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী কমিশনের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করিনি। যদি এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক পেতে রাজপথে নামতে হয়, তবে কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও আমরা যাবো।”
তিনি আরও বলেন, “এনসিপি কেবল সংসদে কয়েকটি আসন পাওয়ার জন্য জোট বা ঐক্যের চিন্তা করছে না। যে কোনো দল যদি জুলাই সনদের সংস্কার বাস্তবায়নে, বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধিতায় এবং আওয়ামী লীগ–জাতীয় পার্টি–ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে—তবে সেই দলের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে ঐক্য হতে পারে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খান। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক খাইরুল কবির, সংগঠক সাঈদ উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহসহ স্থানীয় নেতারা।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

