নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১২ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ডিএমপির এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী।
গ্রেপ্তার মো. রুহুল আমিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। ৪১ বছর বয়সী রুহুল মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির শেখ সাদির ছেলে। তিনি বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
ধর্ষণের ঘটনাটি বন্দরে ঘটেছে বলে জানিয়ে ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়ায় ওই কনস্টেবল আটক হন। তার সঙ্গে শিশুটিও ছিল। পরে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে অভিযুক্তকে সদর মডেল থানা পুলিশ বন্দর থানায় হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শিশুটির বাড়ি মাদারীপুর। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সকালে তার চাচা ধর্ষণের অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তদন্তের বরাতে ওসি লিয়াকত বলেন, সোমবার দুপুরে কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কান্না করছিল শিশুটি। ওই সময় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল রুহুল আমিন। তিনি শিশুটিকে নিয়ে বন্দরের ফ্ল্যাটে আসেন এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকার দিকে আবারও যাবার সময় চাষাঢ়ায় শিশুটি কান্নাকাটি করলে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং পুলিশে খবর দেয়।
ধর্ষণের মামলায় ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আদালতের নির্দেশে দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
একুশে সংবাদ/এ.জে