চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ৪ জনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে পুলিশ মরদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু করে। পরে সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৬ জন ব্যক্তি মারা যান। এর মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানান, তাঁদের মৃত্যু অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়ে হয়েছে। বাকি চার জনের মরদেহ পরিবারের সদস্যরা দাফন করেছিলেন।
এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে ১৪ অক্টোবর পুলিশ আদালতের কাছে ওই চারজনের মরদেহ উত্তোলনের আবেদন জানায়। ১৬ অক্টোবর আদালত থেকে অনুমতি মেলে এবং মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) চারজনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
যাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে তারা হলেন—
১. পিরোজখালি গ্রামের নবীছউদ্দিনের ছেলে লাল্টু হোসেন,
২. খেজুরা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর ছেলে সেলিম (৪৫),
৩. নফরকান্দি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে খেদের আলী (৫০) এবং
৪. শংকরচন্দ্র গ্রামের শহিদুল মোল্লা।
উত্তোলন কাজে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা মনির। তিনি জানান, “আদালতের নির্দেশ অনুসারে মরদেহগুলো উত্তোলন করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা আদালতে দাখিল করা হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে