রাজশাহীর তানোরে ঐতিহ্যবাহী বিল কুমারী বা শীবনদীতে পানি থাকলেও মাছ নেই। এর কারণে বিল সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীরা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কিস্তি পরিশোধের জন্য অনেকে কাজের সন্ধানে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার কুঠিপাড়া, শীতলী পাড়া ও গোল্লাপাড়া-হলদার পাড়ার বেশিরভাগ মানুষ বিলের মাছ ধরা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বোরো মৌসুমে সাধারণত বিলের পানি কম থাকে, কিন্তু এবারে বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। পানি থাকলেও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
মৎস্যজীবীরা জানান, অধিকাংশই দিন আনে দিন খায়। এক সঙ্গে বড় খরচ বা কিস্তি পরিশোধের জন্য তাদের ঋণ নিতে হয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি এনজিও থেকে। শীতলী পাড়া গ্রামের মৎস্যজীবী আজিমুল, আলমগীর, মোস্তফা, সাইফুল ও সোনা বলেন, “গত বার বিলে পানি কম থাকলেও মাছ পাওয়া গেছে। এবার পানি থাকলেও মাছ নেই। পরিবার চালাতে বাধ্য হয়ে অনেককে রাজধানী বা অন্যান্য জেলায় কাজ করতে যেতে হচ্ছে। ছোট্ট শিশু রেখে পরিবারকে জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ করতে যাচ্ছে।”
প্রবীণ মৎস্যজীবী জলিল, শখিন ও মফিজ বলেন, “বিলে মা মাছসহ ছোট মাছ ধরা হচ্ছে এবং অসাধু মৎস্যজীবীরা বিলের মাছ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখছেন। এজন্য মৎস্য দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ সাজু চৌধুরী জানান, “আমি নতুন এসেছি, এই বিলের বিষয়ে বেশি ধারণা নেই। তবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব, মা মাছ আহরণ এবং অসময়ে বন্যার কারণে মাছ কম থাকতে পারে।”
মৎস্যজীবীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে বিলের মাছ পুনরায় উৎপাদনক্ষম হয় এবং তাদের জীবিকা সচল থাকে।
একুশে সংবাদ/এ.জে