সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২২টি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিনামূল্যে বালু বিতরণ করা হয়েছে। মোট ১১ লক্ষ ৩০ হাজার ঘনফুট বালু এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, “করতোয়া-ফুলজোড়-হুরাসগার নদী সিস্টেম ড্রেজিং/পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ড্রেজিংকৃত বালু ও মাটি বিনামূল্যে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আবেদন করেছিল। এসব আবেদন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং আলোচনার পর কমিটি মোট ১১ লক্ষ ৩০ হাজার ঘনফুট বালু বিতরণের অনুমোদন দেয়।
বালু বিতরণ কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সচেতন মহল এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করছেন। তাদের মতে, সরকারি প্রকল্পের আওতায় উত্তোলিত বালু সমাজের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে, যা একদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ করবে, অন্যদিকে ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমে সহায়ক হবে।
রায়গঞ্জের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বলেন, “এ ধরনের সঠিক উদ্যোগ স্থানীয় উন্নয়নের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিনামূল্যে বালু বিতরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষও উপকৃত হচ্ছে।”
উপজেলার জয়ানপুর বাজার মাদ্রাসা ও হিফজখানার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, “আমাদের মাদ্রাসায় অনেক দিন ধরে উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল বালুর অভাবে। এবার বিনামূল্যে বালু পেয়ে আমরা উপকৃত হয়েছি।”
এছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক মো. একরামুল হক বলেন, “প্রশাসনের এ উদ্যোগে এলাকার রাস্তা, স্কুল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সহজ হবে। আমরা চাই ভবিষ্যতেও এমন জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক।”
রায়গঞ্জবাসী উপজেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সময়োপযোগী ও জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, ড্রেজিং প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তোলিত বালু বিক্রি না করে স্থানীয় উন্নয়ন কাজে বিনামূল্যে বিতরণ করায় প্রশাসন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
একুশে সংবাদ // র.ন