নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় পিতা-মাতার মৃত্যুর চার দিন পর শনিবার দুপুর ১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মাসুদ রানা।
গত ৬ অক্টোবর সোমবার বড়াইগ্রামের গুনাইহাটি মোড় এলাকায় বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে আহত মাসুদ রানা (৩০) সহ পাঁচজন নিহত হন। নিহত মাসুদ রানা ছিলেন কালিকাপুর গ্রামের আনসার আলী (৬০) ও মনোয়ারা খাতুন (৫০) দম্পতির পুত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাস্থলেই মাসুদ রানার পিতা আনসার আলীসহ তিনজন মারা যান। একই দিনে রাত ১১টায় তার মাতা মনোয়ারা খাতুনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মাসুদ রানা তখন একই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রানার পিতা আনসার আলী উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহায়ক ছিলেন। নিহত আনসার আলীকে সোমবার রাত ৯টায় এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কালিকাপুর সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বড়াইগ্রাম উপজেলার গুনাইহাটি মোড় এলাকায় সোমবার দুপুর ২টায় বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষের কবলে পড়েছিলেন মাসুদ রানা সহ আরও চারজন। তারা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
নিহত আনসার আলী নিজ বাড়ি থেকে স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে অটোরিকশায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় পড়েন। একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে ছোট ছেলে রাসেল (২৩) নিরাপদে বেঁচে গেছেন।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামের মৃত ইয়াদ আলী সরকারের ছেলে, অটোরিকশার চালক মুনসুর আলী (৬২) এবং মোঃ নওফেল উদ্দিনের ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র নয়ন হোসেন (১৯)।
একুশে সংবাদ/এ.জে