যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নির্মাণাধীন ইপিজেডের অরক্ষিত পল্লী বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে ১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্র সামির মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা তার একটি হাত ও দুই পায়ের আঙুল কেটে ফেলেছেন।
সামির চেঙুটিয়া গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে এবং মহাকাল পাইলট কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সামিরের সহপাঠী বিল্লাল জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে তারা স্কুলের কোচিং শেষে ইপিজেড এলাকায় ঘুরতে যান। ঘুরাঘুরির সময় সামির বালি দেওয়া পাইপের ওপর উঠে দাঁড়ালে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে। নিজেকে রক্ষার জন্য সে মাথার উপর দিয়ে যাওয়া তারে হাত দিয়ে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়।
ইপিজেডে কর্মরত লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইপিজেড নির্মাণের জন্য উচ্চ করা ভুমিতে বালি দেওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ খুটির নিচে উন্মুক্ত তারগুলো বিপজ্জনকভাবে হাতের নাগালে চলে এসেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নওয়াপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সঞ্জিত কুমার মন্ডল বলেন, দুর্ঘটনার অভিযোগকৃত তারে বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তারেও ইনডাকশনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ইপিজেডের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল কাদের বলেন, “আহত সামিরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে