চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার জীবননগর-দত্তনগর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে পড়ছেন হাজারো পথচারী ও যাত্রী।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবননগর ও পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ যাত্রী চলাচল করেন। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গর্ত ও খানা-খন্দে যানবাহন চলাচল এখন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইট উঠে গর্তে ভরেছে সড়কটি। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। বর্ষার বৃষ্টিতে রাস্তাটির অবস্থা আরও করুণ হয়ে পড়েছে। সরু ও ভাঙা রাস্তায় চলাচলের সময় ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটছে এবং যানবাহনেরও ক্ষতি হচ্ছে।
চলাচলকারী পথচারীরা জানান, রাস্তা নির্মাণের সময় নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ভারী ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচলের কারণে খানা-খন্দ আরও বেড়েছে।
এলাকার সচেতন নাগরিকরা জানান, শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এমনকি রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রেও এই সড়ক এখন দুর্ভোগের প্রতীক।
পথচারী করিম হোসেন বলেন, “এ বছর অতিবৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এছাড়া মাছের আড়তের নোংরা পানি সড়কে ফেলার কারণে রাস্তার বিটুমিন নষ্ট হয়েছে। ভালো পরিকল্পনা ছাড়া এই রাস্তা সংস্কার করে টেকসই করা সম্ভব নয়।”
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম বলেন, “সড়কটির সংস্কারের জন্য চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরু হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে