নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের দেওশ্রী গ্রামে স্বামীর বাড়িতে চার দিন ধরে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী মিতু আক্তার। স্বামীর স্বীকৃতি ও অনাগত সন্তানের অধিকার আদায়ে তিনি এ অনশনে বসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেওশ্রী গ্রামের মৃত মোঘল মিয়ার ছেলে আবুল কায়েস মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা মিতু আক্তারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মিতু তার প্রথম স্বামী মিজানুর রহমান ও দুই সন্তানকে রেখে কায়েসের বাড়িতে আসেন। কায়েস বিয়ের স্বীকৃতি না দেওয়ায় সে সময় মিতু টানা ১০ দিন অনশন করলে তার ভাই সানোয়ার তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।
পরে ঢাকায় গিয়ে কায়েস আবার মিতুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন। চলতি বছরের ৩ মে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে কায়েস মিতুকে বিয়ে করেন বলে দাবি করেন মিতু। বর্তমানে তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
অভিযোগ রয়েছে, মিতু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর কায়েস গোপনে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর মিতু তাকে খুঁজতে বাড়িতে গেলে কায়েস পালিয়ে যান এবং তার পরিবার বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে যায়। বর্তমানে মিতু স্বামীর বাড়ির বারান্দায় অবস্থান করছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সরেজমিনে গেলে কায়েসকে পাওয়া যায়নি। তার বসতঘরে তালা ঝুলে থাকতে দেখা গেছে।
মিতু আক্তার বলেন, “কায়েস আমার সঙ্গে ঢাকায় রেজিস্ট্রি মূলে বিয়ে করেছে। এখন আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার সন্তানের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করছি। যতদিন স্বীকৃতি না পাব, ততদিন এখানেই অনশন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে এখান থেকে আমার লাশ যাবে, কিন্তু সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব না।”
এ বিষয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নূর আলম বলেন, “ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে