লক্ষ্মীপুরে ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রগঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে জেলা হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন আনন্দের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনটির কুমিল্লা আঞ্চলিক আমির সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক রাকিব আল হাসান। তিনি সংগঠনের সর্বোচ্চ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের রচিত ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ গ্রন্থের আলোকে গণমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
রাকিব আল হাসান বলেন, “একমাত্র ইসলামই প্রকৃত বাক-স্বাধীনতা দিতে সক্ষম। মানুষের বাক-স্বাধীনতা, মুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তাসহ একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। গত ৫৩ বছরে ১৭ বার সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, বহু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, নতুন নতুন আইন প্রণয়ন হয়েছে—কিন্তু জাতির কোনো সঙ্কটের টেকসই সমাধান হয়নি। মানবরচিত জীবনব্যবস্থায় যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।”
তিনি আরও বলেন, “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের প্রবর্তিত বিধি-বিধান ও সিস্টেমেই আমাদের দেশ চলছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অন্যায়, অবিচার ও অশান্তি বাড়ছে। যুগের পর যুগ আমরা মানবরচিত বিধানের মাশুল দিয়ে যাচ্ছি। অথচ আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে রাসুল (সা.) এমন একটি নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলেছিলেন যেখানে একা একজন নারী রাতের অন্ধকারে শত শত মাইল নির্ভয়ে হেঁটে যেতে পারতেন। মানুষ ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাত, স্বর্ণের দোকান খোলা রেখে মসজিদে যেত, আদালতে মাসের পর মাস অপরাধ-সংক্রান্ত মামলা আসত না। সেই শান্তিপূর্ণ জীবনব্যবস্থার আধুনিক রূপ তুলে ধরা হয়েছে ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা’ গ্রন্থে।”
তিনি সাংবাদিকদের কাছে গ্রন্থটির আলোচ্য বিষয় লেখনীর মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চাঁদপুর জেলা সভাপতি হোসনে মোবারক আজাদ, লক্ষ্মীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন শাকিল, জেলার নারী সম্পাদক শারমিন আক্তার প্রমুখ।
হেযবুত তওহীদের বক্তব্য উপস্থাপনের পর মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন। এ সময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে