চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৫ বাতিল করে ২০০৯ সালের বিদ্যমান নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইউনিটের আয়োজনে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি মো. আকবর হোসেন বলেন, ইউনিয়নভিত্তিক নতুন ডিলার নিয়োগের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, পরিবহন সংকট ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণে এ নীতিমালা সার বিতরণ ব্যবস্থায় সুফল আনতে পারবে না। বিসিআইসি ডিলাররা দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কৃষকের কাছে সার পৌঁছে দিচ্ছেন। হঠাৎ নতুন কাঠামো চাপিয়ে দিলে কৃষক পর্যায়ে সংকট তৈরি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র সার বিক্রেতারা প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। তাদের বাদ দিলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাশাপাশি, প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী সুষম বরাদ্দ দিলে কোনো ধরনের সংকট তৈরি হবে না। ডিলারদের পরিবহন খরচ ও কমিশন বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ জ্বালানি, ব্যাংক সুদ, গুদাম ভাড়া ও শ্রমিক ব্যয় বেড়ে গেলেও কমিশন বাড়ানো হয়নি। এছাড়া, ভর্তুকি মূল্যের সারের ওপর প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ উৎস কর বাজারকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মো. আকবর হোসেন বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিএফএ’র প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণ করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। সার ডিলার নীতিমালা ২০০৯-এর আলোকে ২০২৫ সালের নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হলে তা কৃষক ও সরকারের উভয়ের জন্যই ফলপ্রসূ হবে। বিসিআইসি ও বিএডিসি বিভাজনে না গিয়ে সরকারের নীতিমালার আলোকে সুষ্ঠু সার সরবরাহের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে সার বিতরণের প্রক্রিয়া কার্যকর হোক। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, সার ডিলার নীতিমালা-২০০৯ এর আলোকে সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৫-এ প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন (বিএফএ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হাকিম, সিনিয়র সভাপতি কাজি সেতাউর রহমান, সহ-সভাপতি দানিউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামসহ জেলা ইউনিটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/এ.জে