AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাণীশংকৈলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, আড়াই লাখ  টাকায় মীমাংসা করলেন ইউপি সদস্য


Ekushey Sangbad
আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
০৪:৫৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রাণীশংকৈলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, আড়াই লাখ  টাকায় মীমাংসা করলেন ইউপি সদস্য

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক দৃষ্টি  প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ সালিস বৈঠকে আড়াই লাখ টাকায় মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম  সাবুল । তিনি উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের গাজীরহাট খুনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা নিতে বাধা দিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করেন
নন্দুয়ার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রমজান আলী (হাসু)।

জানা গেছে, গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সাবুল তাকে তাঁর বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় এলাকাবাসী টের পেলে দুজনকে ঘরের ভিতর আটকে রাখে। খবর পেয়ে  ইউপি সদস্য রমজান আলী হাসু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাজিব সহ স্থানীয় লোকজন বিচার সালিশ বসান। রাতেই তাড়াহুড়ো করে প্রতিবন্ধীর ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে নগদ ২০ হাজার এবং অবশিষ্ট বাকি টাকা ১৫ দিন পরে পরিশোধ করবে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তরুণী জানান, প্রায় ৫/৬ বছর ধরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আসছে সাবুল। কিছুূদিন আগে   আমার গর্ভে সন্তান আসে। আমি তাকে বিষয়টা জানালে সাবুল ঔষধ দিয়ে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়। আমি এখন সাবুলকে বিয়ে করতে চাই।

এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও জেলা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট আসাদুজাম্মান রনি বলেন, ধর্ষণ একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এটা শালিসে নিস্পত্তি করা যায় না। এটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ক্ষেত্রে সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করার সুযোগ নেই। এ ধরনের অপরাধের বিচার রাষ্ট্রীয় আইনে পরিচালিত হবে।

এদিকে অভিযুক্ত সাবুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ভাই সুমন রানা ও তার স্ত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ও সালিস সম্পর্কে বলেন, মেম্বার সাহেব আমাদের এটি মীমাংসা করে দিয়েছেন। মেয়েটিকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নন্দুয়ার ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রমজান আলী (হাসু) মুঠোফোনে বলেন, আমি কী করবো ওসি স্যারকে এর আগে আরেকটা ধর্ষণের ঘটনা বলেছিলাম, তখন তিনি আমাকেই উল্টো রাগ করেছিল। তাই এবার স্থানীয় লোকজন নিয়ে বিষয়টি আপস-মীমাংসা করে দিয়েছি। মীমাংসার টাকাগুলো ১৫ দিনের জন্য সময় নিয়েছে, দিয়ে দিবে।

সালিসে উপস্থিত থাকা একব্যক্তি নাম প্রকাশ না করে জানান, মেয়েটির পরিবার চেয়েছিল অভিযুক্ত সাবুলকে জুতার মালা পরিয়ে পুরো গ্রাম ঘোরাতে হবে অথবা তাঁকে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে হবে; কিন্তু এসব সিদ্ধান্ত হয়নি সালিসে।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ কিছু জানাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে খোঁজখবর নেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে

Link copied!