ভোলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প’ শীর্ষক জেলা সম্মেলন। তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক সচেতনতা ও সফলতার অভিজ্ঞতা বিনিময়কে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী এ আয়োজন হয় নারী পক্ষের উদ্যোগে এবং ‘অধিকার এখানে, এখনই’ প্রকল্পের আওতায়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে ভোলার তিন উপজেলার দেড় শতাধিক তরুণ-তরুণী অংশ নেন।
সম্মেলনের শুরুতে নারী পক্ষের প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে প্রকল্পের আওতাভুক্ত আট জেলার কার্যক্রম, অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সফলতার গল্প তুলে ধরা হয়। ভোলার জেলার কার্যক্রম ও অর্জনও বিশেষ তথ্যচিত্রে উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিফাত ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোকাদ্দেছ আলী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ছালেহউদ্দিন, ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল হক অনু, ভোলা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তালহা তালুকদার বাঁধন ও তারুণ্যের কণ্ঠস্বর ভোলার সদস্য সাবরিনা ইসলাম বর্ষা।
সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আদিল হোসেন তপু এবং সঞ্চালনা করেন তারুণ্যের কণ্ঠস্বর ভোলা জেলার সদস্য হাজেরা বেগম ইমা। এ ছাড়া ভোলা জেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা আফনান হক, ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন জাহান শ্যামলী, স্বপ্নীল শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি ইভান তালুকদার, তারুণ্যের কণ্ঠস্বর প্ল্যাটফর্ম ভোলা জেলা সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ নোমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বয়সন্ধিকালে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সঠিক তথ্য ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজ একযোগে কাজ না করলে তরুণরা সঠিক দিকনির্দেশনা পাবে না। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়।
নারী পক্ষ জানায়, ‘অধিকার এখানে, এখনই’ প্রকল্পের মাধ্যমে নেতৃত্ব বিকাশ, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে ‘তারুণ্যের কণ্ঠস্বর’ একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ভোলায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীরা তাদের পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি, বয়সন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, অধিকার সুরক্ষা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
নারী পক্ষ ২০১৮ সাল থেকে ভোলায় কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, অধিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সমাজে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে