গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মহাসড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সকাল ১০টা থেকে মহাসড়ক ও রেলপথে ব্লকেড শুরু করলে ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানিতে (নেসকো) ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের হয়রানি এবং প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের দাবিকে কেন্দ্র করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা ভুরুলিয়া রেলক্রসিংয়ে গিয়ে ট্রেন চলাচল আটকে দেন। এতে চিত্রা এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন পথে আটকে পড়ে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিরুজ্জামান জানান, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় ৪০ লাখ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও ৪ লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিএসসি প্রকৌশলীদের দাবিগুলোকে তারা ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে বলেন, এগুলো জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা বাড়াবে।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশন সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাইরে অন্যদের নিয়োগ বন্ধ, খালেদা জিয়া সরকারের ১৯৯৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উপসহকারী প্রকৌশলীর দশম গ্রেডে নিয়োগ নিশ্চিত করা, পল্লী বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিম্নপদে নিয়োগ প্রথা বন্ধ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১২ নিশ্চিত করা, এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ছয় দফা দ্রুত বাস্তবায়ন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে