শরতের তপ্ত দুপুরেও স্কুল প্রাঙ্গণে ছায়া নামাল গাছের চারা আর স্বপ্নের আলো। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সংগঠন স্বপ্নপুর–এর উদ্যোগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো পরিবেশ দূষণ ও সংরক্ষণ বিষয়ক জ্ঞান বিনিময়, বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি।
এদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে স্বপ্নপুরের মুখপাত্র মাহমুদ সীমান পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের পাশাপাশি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর সংগঠনটি তিন জেলায় প্রায় ২০ হাজার চারা ও তালবীজ রোপণ ও বিতরণ করেছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য অনুষ্ঠানকে আরও আকর্ষণীয় করতে পরিবেশ বিষয়ক এনিমেশন মুভি প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন শিখেছে, তেমনি পরিবেশ নিয়ে সরব আলোচনাতেও অংশ নেয়।
সরকারি কে.এম. কলেজ, ভাঙ্গার সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। স্বপ্নপুরের সহযোদ্ধা সাইদুল হাসান কল্লোল শিক্ষার্থীদের গ্রীন হাউস ইফেক্ট সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আওলাদ আলী শেখ সমাপনী বক্তব্যে স্বপ্নপুরকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নপুরের সদস্য ইমার হোসেন, হাদিউজ্জামান হেলাল, শফিক নাঈম, সাগর, লিটন, মাইনুদ্দিন, সোহেলসহ অনেকে। সঞ্চালনা করেন হাসান শিশির।
শুধু একটি বিদ্যালয়েই নয়, বুধবার ও বৃহস্পতিবার মুকসুদপুরের ১০টি স্কুলে ছয় হাজার গাছের চারা এবং চার হাজার তালবীজ রোপণ ও বিতরণ করেছে স্বপ্নপুর।
বই বিনিময় উৎসব, সাহিত্য সাময়িকী, সাহিত্য কর্মশালা কিংবা বৃক্ষরোপণ—সব ক্ষেত্রেই স্বপ্নপুর তার অঙ্গীকারে অটল। সংগঠনটি বিশ্বাস করে, মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ গড়তে হলে প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি গড়ে তোলা জরুরি। তাই তাদের মূলমন্ত্র, “সুন্দরের স্বপ্নে নিরন্তর।”
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে