ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো দুটি মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করছেন এলাকাবাসী।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া, হামিরদী, মাধবপুর ও নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ ও সুয়াদী এলাকায় বিক্ষুব্ধরা অবস্থান নেন। এসময় মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। রোদ থেকে বাঁচতে আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে সামিয়ানা টানিয়ে বসে পড়েন।
অবরোধকারীরা বলেন, ভাঙ্গাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত মানা হবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো সময় পর্যন্ত মহাসড়ক অচল রাখা হবে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “আমরা অনেকটা অসহায়। স্থানীয়রা বলেছে দাবি না মানলে তারা রাস্তা ছাড়বে না। এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “এটি জাতীয় পর্যায়ের বিষয়। স্থানীয়ভাবে সমাধানের সুযোগ নেই। আন্দোলনকারীদের দেওয়া স্মারকলিপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।”
আগে ফরিদপুর–৪ আসনটি ছিল ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত। ফরিদপুর–২ আসন ছিল নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন নতুন গেজেটে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর–৪ থেকে কেটে ফরিদপুর–২ আসনে যুক্ত করে।
এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই ভাঙ্গায় টানা আন্দোলন চলছে। ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় অবরোধের পর স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে তা প্রত্যাহার করা হয়। তবে সমাধান না হওয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। জবাব না পেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন এলাকাবাসীর পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
তবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আগেই জানিয়েছিলেন, সংসদীয় আসনের সীমানার চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তার ভাষায়, “বিক্ষোভ-আন্দোলন করেও কোনো লাভ হবে না।”
একুশে সংবাদ/এ.জে