মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বরুরিয়া গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক বাদশা শেখের ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আরশাদুল শেখ (১৪) দেড় বছর আগে অপহৃত হয়েছিলেন। অবশেষে সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্পের অভিযানে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাগুরা সদর উপজেলার বেরোইল পলিতা গ্রামের বাসিন্দা লিটন শেখ মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আরশাদুলকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। সেখানে সে আরশাদুলকে নিজের সন্তান পরিচয় দিয়ে একটি মৎস্য খামারে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে থাকে। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি লিটন তাকে মাগুরা সদরে নিয়ে এসে একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করায় এবং সেখানেও নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেয়।
দীর্ঘ দেড় বছর পরিবারের লোকজন কোনো সন্ধান না পেলেও গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে তারা জানতে পারেন, আরশাদুলকে মাগুরা সদরে দেখা গেছে। বিষয়টি সেনাবাহিনীর মাগুরা আর্মি ক্যাম্পকে জানানো হলে ক্যাম্প কমান্ডারের নির্দেশে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের একপর্যায়ে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সেনাসদস্যরা মাগুরা সদর থানার কাদিরপাড় এলাকা থেকে আরশাদুলকে উদ্ধার করেন। পরে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ও নিজ পিতামাতাকে শনাক্ত করার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারের খবর পেয়ে অপহরণকারী লিটন শেখ পালিয়ে যায়। তবে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক অপহরণের বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আরশাদুলের পরিবার সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি হতদরিদ্র ওই পরিবারকে আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                            
