পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মাদারবাড়িয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মরিয়ম খাতুনকে নিতে হয়েছে পরিবারের দায়িত্ব। মা-বাবাকে হারিয়ে ছোট কাঁধে পরিবারের ভার সামলাচ্ছেন এই শিশুটি। মরিয়মের বাবা ওয়াজেদ আলী প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ট্রোকে মারা যান। সেই শোক কাটতে না কাটতেই মারা যান মা আজিমা খাতুনও।
মরিয়ম খাতুন বর্তমানে তার ছোট ভাই ইসমাইল হোসেনের (৬) খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা ও রাতের ঘুম পর্যন্ত দেখাশোনা করছেন। বড় মেয়ে মরিয়ম চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর মা বিধবা হয়ে কষ্টে সন্তানদের লালন-পালন করছিলেন। কিন্তু ২৩ দিন আগে মা স্ট্রোকে মারা যাওয়ায় দুই শিশু এতিম হয়ে গেছে। তবুও মরিয়ম ছোট ভাইয়ের দায়িত্ব নিয়ে পড়াশোনা ও সংসারের ভার বহন করছে।”
মরিয়মের প্রতিবেশী চাচা হোসেন আলী জানান, “ছোট্ট শিশু মরিয়মের মা-বাবা মারা যাওয়ায় শিশুদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। পাড়ার সবাই তাদের দেখভাল করছে, তবে ঘরের অবস্থা খুবই খারাপ। জমি-জমা কিছুই নেই। সমাজের বিত্তবানরা যদি পাশে দাঁড়ায়, তাহলে তারা চলতে পারবে।”
ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাব সভাপতি ও হিউম্যান ওয়েলফেয়ার রিসোর্স সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুব উল আলম বাবলু বলেন, “এমন খবর পেয়ে আমরা চেষ্টা করছি তাদের জন্য কিছু করার। আশা করি, এই এতিম শিশুদের পাশে আরও মানুষ দাঁড়াবে। অসহায় পরিবারটির জন্য যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

