রাজশাহীর তানোরে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তানোর উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে মোঃ মাবুবুব আলম, তানোর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বাকার্যের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাসুদুর রহমান লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ আলী জিন্নাহ (সদস্য সচিব, তানোর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল) ও মোঃ হামিদুর রহমান (সদস্য সচিব, তানোর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল)। প্রধান বক্তা ছিলেন সাহারিয়ার আমিন বিপুল (সদস্য সচিব, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলা)। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আরেফিন কনক (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলা)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: রাইসুল ইসলাম রাসেল (যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী জেলা), মোঃ আঃ গাফফার (যুগ্ম আহ্বায়ক, তানোর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল), মোঃ জালাল উদ্দীন (তানোর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল), রাকিব (সদস্য, তানোর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল), মোঃ আঃ রাজ্জাক (যুগ্ম আহ্বায়ক, তানোর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল) , মোঃ সেলিম উদ্দীন (আহ্বায়ক, তানোর পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল) এর পাশাপাশি ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “দল করতে গিয়ে যারা পতিত সরকারের আমলে নির্যাতিত হয়েছেন, রাতের বেলা লেবারদের সঙ্গে মাঠে ও ধানের ক্ষেতে শুয়ে থেকেছেন, মামলা, হামলা ও অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন—তাদেরকে নেতৃত্ব প্রদান করা হবে। যারা সময়ের কোকিল হয়ে মাঠ ভরেছে, তাদেরও দমিয়ে দেওয়া হবে না, তবে প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড যাচাই করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামে যারা নিজেকে উৎসর্গ করতে পারবে, তারাই সম্মানের অধিকারী হবেন। রাজনীতিতে বড় ভাই বা গুরুদের লেজুরবৃত্তি করলে চলবে না। নিজেকে তৈরি করতে হবে, নিজেকে জায়গা করে নিতে হবে।”
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন ও স্বৈরাচার মুক্ত। জনগণ গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। পতিত সরকার বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখেছিল, কিন্তু তাঁকেও দমাতে পারেনি; তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। তিনি এখন শুধু বিএনপির নয়, সারা দেশের নেত্রী। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে