AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ১৫ ভাদ্র ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দৌলতগঞ্জ শুল্ক স্টেশন বন্ধে হতাশ জীবননগরবাসী



দৌলতগঞ্জ শুল্ক স্টেশন বন্ধে হতাশ জীবননগরবাসী

বারবার গেজেট প্রকাশ ও উদ্বোধন করা হলেও অজানা কারণে চালু হচ্ছিল না চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম। এই শুল্ক স্টেশন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন জীবননগরবাসী। তবে সম্প্রতি তারা হতাশ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিলাহাটি স্থলবন্দর, দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর (শুল্ক স্টেশন), এবং তেগামুখ স্থলবন্দর বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২ মার্চ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চারটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছিল। এই স্থলবন্দরগুলো হলো নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙামাটির তেগামুখ এবং হবিগঞ্জের বাল্লা।

সূত্র জানায়, ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিল। তবে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে এটি পুনরায় চালু হয়। পরে অজ্ঞাত কারণে এই শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই ও ২০০৯ সালের ১১ জুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকল প্রকার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়। ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর দৌলতগঞ্জ শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। একই বছরের ২৪ আগস্ট তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে স্থলবন্দরটি উদ্বোধন করেন। তবে সেটিও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কে এম তরিকুল ইসলাম বন্দর পরিদর্শন করেন।

জীবননগরের বাসিন্দা জিনারুল ইসলাম বলেন, “আমরা অনেক বছর ধরে আশায় ছিলাম এই স্থলবন্দর চালু হবে। তবে আমাদের আশা পূরণ হয়নি।”

আবাসিক হোটেলের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ খান জুয়েল বলেন, “দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন চালু হবে এই আশায় আমার বাবা খান আবাসিক নামের একটি হোটেল চালু করেছিলেন ২০০০ সালের দিকে। তবে বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও এটি বাস্তবায়ন হয়নি।”

দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ সহ-সাধারণ সম্পাদক মাজেদুর রহমান লিটন বলেন,
“নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আমরা দেখেছি যে তারা কার্যক্রম স্থগিত করেছে। মূলত তারা অবকাঠামো কার্যক্রম সীমিত করেছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কার্যক্রম সীমিত করেছে, অপরদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অবকাঠামোর একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। আমরা এখনো দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া শুল্ক স্টেশন নিয়ে আশাবাদী।”

 

একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!