বর্তমান সমাজে ভালো থাকা, সৎ চিন্তা করা এবং নৈতিক পথে চলা যেন দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। একদিকে অসৎ উপার্জন, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বার্থপরতার দৌরাত্ম্য; অন্যদিকে সৎ, নৈতিক ও সঠিক পথে চলা মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। ফলে সহজেই খারাপ পথে গিয়ে পড়ছে অনেক মানুষ।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, “খারাপ হওয়া সবসময়ই সহজ, কারণ সেখানে স্বার্থপরতা ও অস্থায়ী লাভের মোহ কাজ করে। কিন্তু ভালো হতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য, নীতি এবং আত্মসংযম।”
আজকাল ছোট-বড় সবার মধ্যেই ভোগবাদী মানসিকতার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তরুণ সমাজের একটি অংশ তাৎক্ষণিক সাফল্যের জন্য শর্টকাট পথ বেছে নিচ্ছে, যা তাদের দ্রুত বিপদে ফেলছে। একসময় যেখানে সততা ও পরিশ্রমকে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি মনে করা হতো, সেখানে এখন অনেকেই প্রতারণা, দুর্নীতি ও অসাধু উপায়ে লক্ষ্য অর্জন করাকেই বুদ্ধিমত্তার নিদর্শন মনে করছে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ভালো থাকা মানে শুধু সৎ থাকা নয়, বরং অন্যদের জন্য উপকার করা, ন্যায়ের পথে হাঁটা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। কিন্তু তা করতে গিয়ে প্রায়শই মানুষ নানা চাপ, হুমকি এবং সামাজিক বাধার মুখোমুখি হয়।
এখনো অনেক তরুণ নৈতিকতা ও নীতির পতাকা উঁচিয়ে ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিশ্বাস করেন, কঠিন হলেও সৎ থাকা এবং ভালো পথে চলার ফল একদিন সবার সামনে পৌঁছাবে।
সমাজ বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গণমাধ্যম—সবখানে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা বাড়ানো জরুরি। তবেই “ভালো হওয়া কঠিন, খারাপ হওয়া সহজ” এই বাস্তবতা বদলানো সম্ভব হবে।
লেখক- সাংবাদিক মোঃ সজিব সরদার
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

