জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)-এর সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব বলেছেন, জুলাই সনদ যদি আইনি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের সুযোগ না হয়, তাহলে তা কি দলীয় সরকার বাস্তবায়ন করবে? যদি তা না হয়, তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের দেওয়া প্রাণের রক্তপাত অর্থহীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, “তখন ছাত্ররা বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তির জন্য লড়াই করেছে। এটা কোনো দলের অর্জন নয়; এটি ছাত্র-জনতার অর্জন। দলের ভূমিকা থাকতে পারে, কিন্তু কৃতিত্ব দেওয়া উচিত সেই ছাত্রদেরকে। আজ তারা যত ভুল করুক, সে দিনের কৃতিত্ব তাদেরই।”
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তানিয়া রব আরও বলেন, “আমরা সংস্কার করবো এবং নির্বাচনের দিকে আগাবো। গত ১৪ বছর ধরে কোথাও কোনো নির্বাচন হয়নি। নতুন প্রজন্মের ভোটার জানে না কিভাবে ব্যালটে সিল মারতে হয়। তাই আমাদেরকে নির্বাচন ফিরিয়ে আনা দরকার। সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ক্ষুদ্র স্বার্থের বাইরে যেতে পারি না। রাজনীতিতে এমন প্রবণতা দেখা দেয় যে, দল যারা করে, তারা বাহিরের চিন্তাধারাকে মেনে নিতে চায় না। দলের মানুষদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা, কষ্ট ও আকাঙ্খা বোঝার ক্ষমতা থাকা দরকার। এজন্য আ. স. ম. আবদুর রব বলেছেন, দলের বাইরে থাকা বিশেষজ্ঞ যারা জ্ঞান, বিজ্ঞান, শ্রম ও পেশায় দক্ষ—তাদের দিয়ে একটি উচ্চ কক্ষ গঠন করতে হবে। আজকের উচ্চ কক্ষ আন্দোলন সেই লক্ষ্যেই আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ঐক্যমত কমিশনে দিনের পর দিন ছিলাম। তাদের আলোচনাকে আমি গঠনমূলক মনে করিনি। পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সংস্কার কমিশনের কাজ হবে সিদ্ধান্ত দেওয়া। এ দেশের দলগুলো তা মানলো কি না—এটা জনগণ বিচার করবে।”
তানিয়া রব বলেন, “আমরা পিআর পদ্ধতি চাই না। বিদ্যমান পদ্ধতিই যথাযথ। অঞ্চলের ভিত্তিতে আসন বিন্যাস ঠিক আছে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বিকাশ চন্দ্র সাহা, বোরহান উদ্দিন রোমান, জেএসডি লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর মনসুর হক এবং নোয়াখালী শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে