বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসা ও উদ্যোক্তা জগতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এক অপরিহার্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বৃদ্ধি, বিক্রি বাড়ানো এবং ব্র্যান্ড পরিচিতি তৈরির ক্ষেত্রে SEO এখন অন্যতম কার্যকর কৌশল। এ খাতে বাংলাদেশে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন তরুণ আইটি উদ্যোক্তা ও প্রশিক্ষক তানভীর ইভান রাহাত।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সন্তান তানভীর অষ্টম শ্রেণি থেকেই প্রযুক্তি ও ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে SEO’র পাশাপাশি নতুন ধারার Generative Engine Optimization (GEO) নিয়ে কাজ শুরু করেন, যা বর্তমানে গুগল এআই ও বিভিন্ন সার্চ প্ল্যাটফর্মে ভিজিবিলিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অল্প বয়সেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন নিজস্ব ডিজিটাল এজেন্সি Nexa Forge। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান দেশি-বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য SEO, কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি, ওয়েবসাইট ব্র্যান্ডিং, ডেভেলপমেন্ট ও ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করছে। পাশাপাশি তিনি একটি স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে প্রতি ব্যাচে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল মার্কেটিং, SEO ও ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তুলছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান Acumen Research and Consulting এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বৈশ্বিক SEO সার্ভিস মার্কেটের আকার ছিল ৪৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এ বাজার দাঁড়াবে প্রায় ২৩৪.৮ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশেও এ খাত দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (BFDS) এর তথ্যমতে, দেশে ইতোমধ্যেই ১০ লাখেরও বেশি তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, যাদের বড় অংশ SEO ও ডিজিটাল মার্কেটিং খাতে কাজ করছেন।
তরুণ সমাজের উদ্দেশে তানভীর ইভান রাহাত বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখি একটি দক্ষ জনশক্তি নির্ভর বাংলাদেশের, যেখানে তরুণরা জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হবে। এখন পর্যন্ত আমি প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থীকে SEO প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যদি আমরা দক্ষতা অর্জন করি, তাহলে মার্কেটপ্লেসের ওপর নির্ভরশীল না হয়েও সরাসরি ক্লায়েন্ট পাওয়া সম্ভব। আমি চাই বাংলাদেশের তরুণরা নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করুক।”
তিনি মনে করেন, SEO কেবল একটি পেশা নয়, বরং তরুণদের স্বাবলম্বী হওয়ার অন্যতম বড় সুযোগ।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে