একুশে সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবশেষে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে অবৈধ বালুর গদির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানো হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম।
অভিযানে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গড়ে ওঠা বালুগদির অফিস ও পাইপ ভেঙে ফেলা হয়। ৯টি গদিতে থাকা বালু খোলা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা রাজস্ব আয় করা হয়। একই অভিযানে ঐ সেক্টরে অবৈধভাবে বসানো শিমুলিয়া গরুর হাটও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছবীর হোসেন, রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, রাজউকের কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, “গত কয়েক মাস ধরে প্রভাবশালী একটি মহল ৪, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেক্টরে অবৈধ বালুর গদি স্থাপন করে ব্যবসা চালাচ্ছিল। এতে সড়কে খানাখন্দ, পানি জমে ড্রেন ভরাট ও স্কুলে পানি ঢোকার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আজকের অভিযানে অফিস ধ্বংস এবং ৯টি গদির বালু নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। আগামী ১৫ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ উচ্ছেদ শেষ করতে হবে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট পূর্বাচলের অবৈধ বালুর ব্যবসা নিয়ে একুশে সংবাদে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রশাসনের নজরে এলে আজকের অভিযান পরিচালিত হয়।
একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে