AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা ফোরামের অভিষেক


Ekushey Sangbad
রফিকুল ইসলাম রাফি
০৪:২১ পিএম, ১০ আগস্ট, ২০২৫

ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা ফোরামের অভিষেক

বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “এদেশের ইতিহাস যদি দেখতে চান, গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি হলো বিএনপি, আর গণহত্যার পক্ষের শক্তি হলো আওয়ামী লীগ।”

শনিবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল ব্যবস্থা বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। দেশের উন্নয়নে ও গণতন্ত্রের প্রসারে তিনি বহুবিধ সংস্কার করেন, যা পরবর্তীতেও চলমান ছিল। এরশাদ আমলে আবার গণতন্ত্র হত্যা করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় অংশগ্রহণে দীর্ঘ নয় বছরের আপসহীন আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের পতন ঘটে।

তিনি বলেন, ডাকসুর ভিপি থেকে শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের নির্বাচিত ছাত্র সংসদগুলো ঐ সময় নেতৃত্ব দেয় এবং জনগণের অভ্যুত্থানে এরশাদের পতন ঘটে। পরে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। “তাই দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে বিএনপিই গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি এবং আওয়ামী লীগ গণহত্যার পক্ষে শক্তি”।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর প্রায় ১৭ বছর পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন” হয়েছে। শেখ হাসিনা জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন, যা পুরো দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতেই শেষ করে আওয়ামী লীগ তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করে। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে নানা দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িত হয়। এই পরিস্থিতিতেই ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগের অবস্থা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় এবং ছাত্র-জনগণের গণঅভ্যুত্থান ও বিএনপির ধারাবাহিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য হন।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আসন্ন নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র রক্ষায় সবসময় সংগ্রাম করেছে এবং বহুবার সফল হয়েছে। এবারও সফলতা আসতে হবে জাতীয়তাবাদী শক্তির হাত ধরে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন এলাকার জনগণভিত্তিক হয়। জনপ্রিয়তা ও জনগণের সমর্থন ছাড়া জয় সম্ভব নয়। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের পাশে রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত অসংখ্য নেতা-কর্মী জেল খেটেছে, মামলা মোকদ্দমার শিকার হয়েছে। খুবই কম সংখ্যক নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও তারা ভালো ফল পায়নি। বর্তমানে বিএনপি ছাড়া মাঠে বড় কোন দল নেই।

“পি আর পদ্ধতির” নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই পদ্ধতিতে যদি বিএনপি ৬০% ভোট পায়, তাহলে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ১৮০ আসন আসবে। যারা ১০%, ৫% বা ২% ভোট পাবে, তারাও বেশ কয়েকটি আসন পাবে—যা তাদের আশা। কিন্তু সরাসরি বর্তমান পদ্ধতিতে ভোট হলে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারে এবং এমপিকে সরাসরি জবাবদিহি করাতে পারে। পিআর পদ্ধতিতে এমপি হবে দলের মনোনীত, জনগণের সরাসরি নির্বাচিত নয়। তাই তিনি আগের প্রচলিত পদ্ধতিতেই নির্বাচন চেয়েছেন, যাতে সংসদ সদস্যরা জনগণের কাছে জবাবদিহি হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের উপদেষ্টা ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফোরামের পৃষ্ঠপোষক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া।

ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি দাউদউজ্জামান শিকদার লিটনের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াহিয়া খান। অনুষ্ঠান শেষে সকলের উপস্থিতিতে এই ফোরামের কমিটি ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় ফোরামের উপদেষ্টা মণ্ডলী, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলার জনগন উপস্থিত ছিলেন।

 

একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/এ.জে

Link copied!