ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহারভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে বেধরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকেলে। আহতরা হলেন—চিলারং ইউনিয়নের পাহারভাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলাম (১৬), যিনি এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এবং একই গ্রামের নুর আলম সিদ্দিক (১৪), যিনি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। তারা বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আহতরা জানান, ফুটবল খেলার সময় ফাউল নিয়ে বিরোধ হয়। এর পর নৈশ্যপ্রহরী আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর চরম নির্যাতন চালায়। এমনকি গলা চেপে হত্যা করার চেষ্টা চালানো হয়। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করেন।
নুর আলম সিদ্দিকের বাবা আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, "নৈশ্যপ্রহরীর পরিকল্পনা ছিল আমার দুই সন্তানকে হত্যা করা। মারপিটের সময় গলা চেপে ধরার মাধ্যমে সে এ উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছে। হাসপাতালে আনার পথে নৈশ্যপ্রহরী ও তার সহযোগীরা আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়েছে এবং রাতের অন্ধকারে আমার খড়ির ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমি তাদের শাস্তি চাই।"
অভিযুক্ত নৈশ্যপ্রহরী আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন, কিন্তু তিনি কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি সারোয়ার আলম খান জানান, এ পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে