গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি থেকে সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ দলীয় ও অদলীয় প্রায় অর্ধ ডজন প্রার্থী রয়েছে। তবে মানবিক কাজের মাধ্যমে মুকসুদপুর-কাশিয়ানীবাসীর মন জয় করে সেলিম নিজেকে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনটি মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম রাজনীতির একজন কৃতিত্বশীল ও অসাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে পরিচিত।
আন্দোলন সংগ্রামে বহুবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেলিম বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে তিনি নিবেদিতপ্রাণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে শুরু হওয়া রাজনৈতিক যাত্রায় সেলিম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থাভাজন। তিনি ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এবং যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে এই অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত রয়েছে। এখানে তেমন কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। যারা এমপি হয়েছেন, তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি আমার আকর্ষণ ছিল। তাই জীবনের প্রারম্ভ থেকে আমি দলের জন্য নিবেদিত। আমার স্বপ্ন মানুষের সেবা করা। আমার নেতা তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে যেখানে প্রয়োজন করবেন, আমি সেখানেই কাজ করতে প্রস্তুত। প্রার্থী নির্বাচন আমার নেতাদের সিদ্ধান্ত। তবে আমরা সবাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের `ধানের শীষ` প্রতীকের পক্ষে কাজ করছি।"
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে