বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুড়ী শহরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুড়ী থানায় নিয়ে আসেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আজমল হোসেন। পরে বিকেলে তাঁর গ্রেফতারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলার বাদী মো. তারেক মিয়া ও সাক্ষী আফজাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান শেলু এই ঘটনায় জড়িত নন। তাঁরা গ্রেফতারের বিরোধিতা করে মামলায় তাঁর নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু এএসপি অনড় থাকায় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়।
চেয়ারম্যান শেলুর গ্রেফতারে ক্ষোভ জানিয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী থানায় জড়ো হন। পরে তাঁকে মৌলভীবাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশ গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান।
মামলার বাদী তারেক মিয়ার অভিযোগ, “হামলার মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে, অথচ নির্দোষদের ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ এই মামলাকে বানিজ্যের হাতিয়ার বানিয়েছে।”
অন্যদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন বলেন, “তদন্তে চেয়ারম্যান শেলুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদি কারো আপত্তি থাকে, তাহলে তা আদালতে বলাই উচিত।”
একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে