জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) প্রিটোরিয়া দূতাবাসের হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মান্যবর শাহ আহমেদ শফি। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আবু নাঈম।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন—বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কমিউনিটি নেতা মেহরাজ মিয়া, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও দক্ষিণ আফ্রিকার (নর্থ) মমিনুল হক, দক্ষিণ আফ্রিকা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আখতারুজ্জামান, ইসলামিক ফোরাম অব আফ্রিকার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মোশাররফ হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় পরামর্শ পরিষদের সদস্য ও ঘাউটেং প্রভিন্সের সভাপতি মো. শরীফ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় দাওয়াহ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহাদাত হোসেন, নেক মানি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কাজী ফরহাদ কামাল, শাপলা টিভির সিইও নোমান মাহমুদ এবং যমুনা টিভির আফ্রিকা প্রতিনিধি নুরুল আলম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন—সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন দক্ষিণ আফ্রিকা (নর্থ) কমিটির সাবেক আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম তরুণ, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইমরান আলী বাবুল, নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মেছবাহ উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সভাপতি আব্দুর রহিম, ঘাউটেং প্রভিন্স ফোরামের সেক্রেটারি মোয়ারেফ হোসেন রতন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, প্রি-স্টেট প্রভিন্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ আলী, তারবিয়াহ সম্পাদক মোবারক হোসাইন সুজন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—দূতাবাসের প্রথম সচিব ড. জাকির হোসেন, প্রথম সচিব আলমগীর হোসেন, প্রথম সচিব মো. তৌহিদ হোসেন, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহাজাহান, সাউথ বাংলা প্রতিনিধি দ্বীন মোহাম্মদ রুবেল, লিম্পুফো প্রভিন্সের আমিরুল ইসলাম, ফ্রি স্টেটের সহকারী সেক্রেটারি রহমত উল্লাহ রবি, বায়তুলমাল সম্পাদক কামাল উদ্দিন, প্রভিন্স সেক্রেটারিয়েট সদস্য আলাউদ্দিন ও আশরাফুল ইসলাম রাসেল, মেফেয়ার শাখার সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন, সেক্রেটারি মো. মহসিন, ডারবানের সহসভাপতি কাজী মেহরাব উদ্দিন, সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ এবং আরও অনেকে।
আলোচনা শেষে হাইকমিশনার শাহ আহমেদ শফি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটবিহীন একটি দেশের আন্দোলনকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স শাটডাউনসহ নানা উপায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছেন। এতে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গতি পেয়েছে।”
তারা আরও বলেন, “এই আন্দোলনে প্রবাসীরা যেভাবে আত্মত্যাগ করেছেন, তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। এই চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
আলোচনায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গুত্ব বরণকারী ও দৃষ্টিশক্তি হারানো ‘বীর জুলাই যোদ্ধাদের’ অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। শহীদ ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
সভা শেষে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

