জমি ফিরে পেতে ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এক কৃষকের ফুপা-ফুপির বিরুদ্ধে। বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার বহরামপুর কানাপুকুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল্লাহ কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী আব্দুল্লাহ বকসিপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং চাষাবাদে নিয়োজিত। তিনি বলেন, “রাহেন জোয়াদ্দার আমার ফুপা এবং মোছা. হালিমা বেগম আমার ফুপি। কয়েক বছর আগে আমি তাঁদের কাছ থেকে একটি জমি লিজ নিয়ে আম চাষ শুরু করি। পরে জমিটিতে পেয়ারা চাষে মনোযোগ দিই এবং এর জন্য প্রায় দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৫০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করতে পেরেছি।”
তিনি আরও জানান, গত ২ আগস্ট তাঁকে হঠাৎ করে জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়। তিনি জমি ছাড়তে রাজি না হওয়ায়, রাতে তার ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেওয়া হয়। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আব্দুল্লাহ বলেন, “জমি লিজ নেওয়ার সময় ওই জমির কাগজপত্রে ত্রুটি ছিল, যা আমি নিজ খরচে ঠিক করি। তাঁরা তখন বলেছিলেন কাগজ ঠিক করে নিতে এবং চাষ করতে। আমি প্রতি বছর নিয়মিত লিজের টাকা দিয়েছি। অথচ এখন ফল আসার সময়েই তারা গাছ কেটে দিয়ে আমাকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ফুপা রাহেন জোয়াদ্দার। তিনি বলেন, “আব্দুল্লাহ আমার কুটুমের ছেলে। সে আমার জমিতে চাষ করছিল। জমি ফেরত চাইলে সে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। থানায় যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বাড়ি বিদ্যাধরপুর গ্রামে—আমি কীভাবে গিয়ে কানাপুকুরে গাছ কাটতে পারি?”
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বলেন, “পেয়ারা গাছ কাটার ঘটনায় আব্দুল্লাহ নামে একজন অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে