AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কোটচাঁদপুরে ১১ দিনে সাপে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন দুই



কোটচাঁদপুরে ১১ দিনে সাপে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন দুই

১১ দিনে কোটচাঁদপুরে সাপে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন নারী ও পুরুষ। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন আর মারা গেছেন একজন। এতে করে মানুষের মাঝে সাপ-আতঙ্ক বিরাজ করলেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের নেই কোনো পদক্ষেপ।

জানা যায়, টানা বর্ষণে বিল, বাওড়, ডোবা, নদী-নালা ডুবে গেছে পানিতে। এতে করে কোটচাঁদপুরের সর্বত্র বৃদ্ধি পেয়েছে সাপের উপদ্রব। গেল ১১ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন পুরুষ।

তাদের একজন হলেন কোটচাঁদপুরের বলাবাড়িয়া গ্রামের মইদুল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২)। তিনি শুক্রবার গভীর রাতে সাপে আক্রান্ত হন। তবে বুঝতে পারেন সকাল ৮টার দিকে। এ সময় তাঁর স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জসিম উদ্দিনকে দেখে ভর্তি করে দেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

অন্যজন উপজেলার তালসার গ্রামের মৃত খালেকের ছেলে আব্দুল হাই (৫৫)। তিনি গেল শুক্রবার দুপুরে নিজের ধানের ক্ষেতে কাজ করার সময় আক্রান্ত হন। এরপর তাঁর স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আর গেল ৩০ জুলাই রাতে নিজ শোবার ঘর থেকে আক্রান্ত হন কোটচাঁদপুরের বলুহর মাঠপাড়ার মাহতাপ উদ্দিনের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪৫)। এরপর নাছিমার স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাঁকে দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।

ওই রাতেই আক্রান্ত হয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের পাকা গ্রামের শিশু রশ্মি খাতুন (৫)। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে ঝিনাইদহ হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যাবার পর মারা যায় শিশু। সে জীবননগরের পাকা গ্রামের আসিবুল হকের মেয়ে।

এতে করে সাপ-আতঙ্ক বিরাজ করছে মানুষের মাঝে। তবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্টদের ছিল না কোনো পদক্ষেপ। তবে বিষয়টি জানার পর মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদে মসজিদে প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ ইউনিয়নে সচেতনতামূলক মাইকিং করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম।

আর ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ড. কামরুজ্জামান বলেন, জন্মের পর থেকে তো এ ঘটনা ঘটে আসছে। আমরা মানুষকে বলতে পারি, সাপে কাটার পর কবিরাজ বাড়ি না নিয়ে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। আর অ্যান্টিভেনম তো এখন সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই আছে। এছাড়া অ্যান্টিভেনম শেষ হওয়ার পর আবারও তা কেনা হচ্ছে। আর বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

 

 

একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!