AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উন্নয়ন বঞ্চনার জীবন্ত সাক্ষী: ভোলার লালমোহনের জনবহুল রাস্তাটি হবে কবে?



উন্নয়ন বঞ্চনার জীবন্ত সাক্ষী: ভোলার লালমোহনের জনবহুল রাস্তাটি হবে কবে?

ভোলার লালমোহন উপজেলার চর উমেদ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শিমুলতলা গ্রামের একমাত্র জনবহুল রাস্তাটি দীর্ঘ তিন দশকেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। ভাঙাচোরা রাস্তার খানাখন্দই যেন এলাকাবাসীর নিত্যসঙ্গী। প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ পথচারীসহ ৭-৮ হাজার মানুষ পড়ছে সীমাহীন দুর্ভোগে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন মোল্লা জানান, ১৯৯৬ সালে একবার রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও এরপর থেকে আর কোনো কাজ হয়নি। বড় বড় গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল হচ্ছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। বর্তমানে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।

রিনা রানী নামে এক নারী বলেন, বর্ষাকালে চলাচল করা খুব কষ্টকর। অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাওয়া যায় না, এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও আসে না। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা বিপদে পড়লে ছোট যানবাহনও পাওয়া যায় না।

শিমুলতলা এলাকার স্কুলশিক্ষার্থীরা জানায়, কাঁদা ও কর্দমাক্ত রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে জামাকাপড় নষ্ট হয়। অনেক সময় তাই স্কুলে যাওয়া সম্ভব হয় না। অটোরিকশাচালক রাসেল বলেন, ৩০ বছরেও রাস্তায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। যাত্রীসেবা দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ি।

স্থানীয় সরফুদ্দিন হাওলাদার বলেন, রাস্তাটি অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় কাদামাটিতে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়ে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

পশ্চিম চর উমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন ও শিক্ষিকা বিথীকা দাস বলেন, বর্ষায় এই রাস্তায় হাঁটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার সময় আসতে পারে না। আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু ইউসুফ বলেন, রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখনো পাকা হয়নি। রাস্তাটির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আইডি নম্বরও পেয়েছে।

লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে। একসঙ্গে কার্পেটিং নয়, প্রথমে মাটি ও ইট দিয়ে (সলিং) রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ভো.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!