শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন এক সন্তানের জননী অন্তরা আক্তার সাথী (২৫)। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) উপজেলার ফুলপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তরার বাবার দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত স্বামী আলমগীর হোসেনকে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গলদাপাড়া গ্রামের সিএনজি চালক আব্দুল হাইয়ের মেয়ে অন্তরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয় নালিতাবাড়ীর ফুলপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলমগীরের। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তবে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত।
জামাই আলমগীরের স্বচ্ছলতার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি সিএনজি কিনে দেওয়া হলেও তা বেশিদিন না চালিয়ে তিনি অন্যের গাড়িতে হেলপারের কাজ শুরু করেন। এদিকে, তিনি নিয়মিত গাঁজা সেবন করতেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।
একপর্যায়ে বুধবার রাতে ২০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী অন্তরাকে বেধড়ক মারধর করেন আলমগীর। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালেও পুনরায় কলহ হলে বেলা এগারোটার দিকে অন্তরা বিষপান করেন। পরে আলমগীর শ্বাশুড়িকে ফোন করে বিষপানের বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে অন্তরাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত অন্তরার বাবা আব্দুল হাই বাদী হয়ে স্বামী আলমগীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “ঘটনার মূল অভিযুক্ত আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”
একুশে সংবাদ/শে.প্র/এ.জে