নির্বাচন কমিশনের গণবিরোধী ও ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে মোংলার রাজপথ। বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসন অন্য আসনের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ শামীমুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে মোংলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মিছিলটি প্রদক্ষিণ করে মোংলা পৌর চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় মোংলা উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে পুরো কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মোঃ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, “একটি জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কবর দিতে চায়, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ। বাগেরহাট-৩ আসন বিলুপ্ত করে রামপাল ও মোংলার মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এটি গণতন্ত্র, ইতিহাস ও এলাকার জনগণের সঙ্গে নির্মম প্রতারণা। প্রয়োজনে ২০ হাজার লোক নিয়ে ইসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এই আসনের জনগণ নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, শিল্প দূষণের মতো নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেই মানুষের কণ্ঠস্বর সংসদে তোলার সাংবিধানিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হলো। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত দলীয় নয়, এটি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। আমরা এই ষড়যন্ত্র রুখবই।”
সমাবেশে বিএনপি নেতা মোঃ এমরান হোসেন বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই সরকার জনগণের ভয় করে। তাই তারা আসন কেটে রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়।”
মোংলা উপজেলা যুবদল সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে আছি, থাকব এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবং সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা “আসন কাটা চলবে না”, “গণবিরোধী সিদ্ধান্ত মানি না”, “রামপাল-মোংলা আমাদের অধিকার” ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে তোলে গোটা মোংলা শহর।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে