ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আটক এক বাংলাদেশি তরুণীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সীমান্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। একই সময়ে নারী ও শিশুসহ আরও ৯ জনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলার পৃথক দুটি সীমান্ত দিয়ে এই পুশ-ইনের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বিজিবি সকলকে আটক করে পুলিশের জিম্মায় দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পপি রায় নামের এক তরুণীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পপি দীর্ঘ এক বছর ধরে শিলিগুড়িতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছিলেন এবং স্থানীয় একটি মন্দিরে কাজ করতেন। সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুলিশ তাকে আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
তবে একই রাতে, একই সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী ও শিশুসহ একটি পরিবারের চার সদস্যকে পুশ-ইন করে বিএসএফ। জানা গেছে, পরিবারটি দীর্ঘদিন মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। সেখানকার সেলিম মোড়ল নামের এক ভারতীয় নাগরিকের স্ত্রী আছমা এবং তাদের সন্তানদের মুম্বাই পুলিশ আটক করে শিলিগুড়িতে পাঠায়। পরে বিএসএফ তাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।
এছাড়া, একই রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গিপুকুর সীমান্ত দিয়ে আরও পাঁচ নারীকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় বিজিবি তাদের আটক করে এবং পরবর্তীতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এদের বাড়ি যশোর ও ময়মনসিংহ জেলায়।
বিজিবি ও থানা পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট জেলার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে