নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে শোভা আক্তার (১৯) এর সঙ্গে একই উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের মশুরাকান্দা গ্রামের মো. রায়হানের (পিতা: উজ্জ্বল মিয়া) চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বেকার থাকার কারণে রায়হানের সঙ্গে শোভার দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ হতো। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে, নাম সোয়াইব।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সকালেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দফায় দফায় ঝগড়া হয়। পরে বিকেলে শোভার বাবার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে রায়হান তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে সাজাতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শোভার মা মানছুরা বেগম মেয়েকে ডাকতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শোভার মা মানছুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই রায়হান ও শোভার সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। রায়হান অলস প্রকৃতির হওয়ায় কোনো কাজ করত না এবং আমাদের বাড়িতেই এসে থাকত। এসব নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দফায় বড় ধরনের ঝগড়া হয়। বাড়ির অন্য সদস্যরা কাজে বাইরে থাকায় সেই সুযোগে রায়হান আমার মেয়েকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে।” তিনি মেয়ের হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া এটি হত্যা না আত্মহত্যা— তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে ডাক্তার প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।”
একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে