ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা নদী পারাপার হচ্ছেন। উক্ত নৌরুটে ষ্পীডবোটে পদ্মা নদী পারাপারের সময় প্রত্যেক যাত্রীর জন্য লাইফ জ্যাকেট পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেছেন প্রশাসন।
শ্রাবনের উত্তাল পদ্মা নদীতে বৈরী আবহাওয়ায় যাত্রীদের মাঝে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুন বলেন, “ আমি প্রত্যেক যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করিয়ে পদ্মা নদী পারাপারের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু অনেক যাত্রী গরমের অজুহাত দিয়ে লাইফ জ্যাকেট পরার ব্যাপারে অনিহা প্রকাশ করে চলেছেন। সেসব যাত্রীদের ষ্পীডবোট থেকে নামিয়ে লঞ্চে পাঠানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, এতোদিন লাইফ জ্যাকেট পড়ার অভ্যাস যাত্রীদের ছিলো না। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ষ্পীডবোট যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করেছি। আর এজন্য তিনি সকলের সহায়তা কামনা করেছেন”।
জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ও মৈনট ঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ষ্পীডবোটে স্বল্প সময়ে পদ্মা নদী পারাপার হয়ে রাজধানী ঢাকা যাতায়াত করেন। এ নৌরুটে আশপাশের তিন উপজেলা সহ জেলা শহরের অনেক যাত্রী ষ্পীডবোটে চলাচল করে থাকেন। প্রতিটি বড় ষ্পীডবোটে ১৮ জন যাত্রী একং ছোট ষ্পীডবোটে ১০ জন করে যাত্রী চলাচল করে থাকে। এসব ষ্পিডবোট যাত্রীদের জান ও মালের নিরাপত্তা বাড়াতে লাইফ জ্যাকেট পরিধানের ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এসব লাইফ জ্যাকেট দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীদের পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করে যা জীবন রক্ষায় জরুরী।
মঙ্গলবার উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাট দিয়ে ঢাকা থেকে ফেরা এক যাত্রী রতন মোল্যা (৪৫) জানান, “এ নৌরুটের প্রতিটি ষ্পীডবোটের যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান লাইফ জ্যাকেটের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। লাইফ জ্যাকেট পড়তে একটু আনইজি ফিল করলেও দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান যাত্রীদের জীবন রক্ষায় খুবই জরুরী”। আরেক যাত্রী হাসান ফকির (৪৮) বলেন, “ যতো কষ্টই হউক, শ্রাবনের এ উত্তাল পদ্মায় খোলা ষ্পীডবোটে লাইফ জ্যাকেট পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই”।
একই দিন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ঘাটের পরিচালক নির্বাহী অফিসারের এক কর্মচারী সোহেল হাসান জানান, “ গত ক’দিন ধরে আমরা প্রত্যেক ষ্পীডবোট যাত্রীকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সবার ছবি রেখে তারপরে পদ্মা পারাপারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি। শুধু তাই নয়, অত্র পদ্মার ঘাটে যেসব ষ্পডিবোটে লাইফ জ্যাকেট নেই সেগুলো আপাততঃ পদ্মা নদীতে চরাচল বন্ধ রেখেছি”।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে